বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে প্রতিযোগিতা নেই। প্রতিটি ধাপে ধাপে আমাদের অন্যের সাথে প্রতিযোগিতায় নামতে হয়। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে শুরু হয় আমাদের জীবনের যুদ্ধ, টিকে থাকার লড়াই। টিকে থাকার লড়াইয়ে আমরা একে অপরকে পেছনে ফেলে কিভাবে সামনে এগিয়ে যেতে পারি সেই চিন্তা মাথার ভিতরে ঘুরপাক খায় সারাক্ষণ। বাসের ভাড়া মেটানো থেকে শুরু করে জমির দলিল করা পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই আমরা জিতে আসতে চাই। হেরে যাওয়াটা কোনো ভাবেই আমরা মেনে নিতে পারি না। আর জেতার জন্য আমরা দিনরাত এক করে কঠোর পরিশ্রম করতে থাকি।
বাংলাদেশ অত্যন্ত জনবহুল একটি দেশ। এই দেশে জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের জন্য অনেক চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু দিন শেষে আমাদের দেশের একটা বড় অংশ বেকার-ই থেকে যাচ্ছে। প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে বের হবার পরেও দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের বেকারত্বের বোঝা বইতে হচ্ছে। এর পেছনে প্রধান কারণ আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের একগুয়ে মনভাব।
আমার উপরের কথাগুলো পড়ে আপনার হয়তো ভাববেন এই কথাগুলো কেন বলছি। কারণ শিরোনামের সাথে আমার কথাগুলোর কোন মিল নেই এখন পর্যন্ত। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনারা যে উদ্দেশ্যে আমাদের লেখা টি পড়ছেন আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হবে আশা করি।
প্রতিযোগিতা নিয়ে এত কথা বলার কারণ হলো এই যে আপনারা অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী, অনার্স চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হবার সাথে সাথেই হয়তো চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করবেন। তাই আপনাদের মনে করিয়ে দিলাম যে পরীক্ষার পরে সময়টুকু আপনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন হতে যাচ্ছে।
পরীক্ষার পরে সময় মত পরীক্ষার আগের সময়গুলো কিন্তু আপনাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনারা স্নাতক সম্পন্ন করার পরে যখন কোন চাকরির জন্য আবেদন করবেন তখন আপনার যোগ্যতা, দক্ষতা ছাড়াও আপনার স্নাতক এর ফলাফল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে।
আপনারা নিশ্চয়ই চান স্নাতকের ফলাফল ভালো করে চাকরির জন্য খুব ভালো একটি প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে। আসলে আমরা সবাই জানি যে কোন চাকরির জন্য দক্ষতা খুব বেশি জরুরি। কর্মঠ ও কাজে পটু এমন ব্যক্তিরা সব ফিল্ডে বেশি অগ্রাধিকার পায়। তবে স্নাতক এর ফলাফল অনেকটা নির্ভর করে আপনার স্নাতক এর সময় আপনি কতটা পরিশ্রম করেছেন তা বিবেচনা করার জন্য।
আপনারা যারা অনার্স চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন তাদের ফলাফল ভালো করার কোনো বিকল্প নেই। যারা আগের বছরগুলোতে ভালো ফলাফল অর্জন করেছেন তাদের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য অনার্স চতুর্থ বর্ষেও ফলাফল ভালো করতে হবে। অপরদিকে যারা বিগত বছরগুলোতে খুব ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারেননি তাদেরও অনার্স চতুর্থ বর্ষে ভালো ফলাফল অর্জন করা জরুরী। সুতরাং আপনারা বুঝতেই পারছেন অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল কেন করতে হবে। অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারলে আপনারা অনেকটা চাপমুক্ত থেকে আপনাদের চাকরির প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন।
অনার্স চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করেন। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন বিগত দিনে আমরা অনার্স প্রথম থেকে একদম চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত সকল বছরের পরীক্ষার সাজেশন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে আসছি। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সাজেশন সংগ্রহ করে আপনাদের মধ্যে অনেকেই খুব ভালো ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। আপনাদের জানা আছে আমাদের সাজেশন গুলো 100% নির্ভুল ও কমন উপযোগী।
অনার্স চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য আপনাদের খুব ভালো একটি প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। খুব ভালো প্রস্তুতি গ্রহণ করতে গেলে প্রথমত পরীক্ষার আগের সময় গুলোতে আপনাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। অনার্স প্রথম বর্ষ ,দ্বিতীয় বর্ষ ও তৃতীয় বর্ষে আপনারা যেমন পরিশ্রম করেছেন তার থেকেও বেশী পরিশ্রম করা এখন দরকার। আপনারা পরিশ্রম করবেন এবং তা দিক নির্দেশনা অনুযায়ী।
অনার্স চতুর্থ বর্ষের 100% কমন উপযোগী সাজেশন গুলো খুব দ্রুত আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে নিন। সাজেশন সংগ্রহ পরে তা অনুযায়ী পরিশ্রম করতে শুরু করুন। পড়াশোনার পাশাপাশি আপনাদের লেখার অভ্যাস করা খুব জরুরী। আপনি কতটুকু পড়েছেন বা আপনি কতটুকু জানেন তা সঠিকভাবে উপস্থাপন না করতে পারলে আপনাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে না।
আমরা জানি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতাগুলো সবসময়ই বাইরের শিক্ষকেরা মূল্যায়ন করে থাকেন। তাই আপনাকে খাতায় এমনভাবে প্রশ্নের উত্তরগুলো উপস্থাপন করতে হবে যা দেখে শিক্ষকেরা সন্তুষ্ট হতে পারেন। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই খাতায় সুন্দর ভাবে লিখতে হবে এবং গুছিয়ে লিখতে হবে।
দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে অনার্স চতুর্থ বর্ষের সকল সাজেশন সংগ্রহ করুন এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিন। পরীক্ষার পরে চাকরির প্রস্তুতির জন্য কিভাবে সময়গুলো কাজে লাগাবেন সে সম্বন্ধে আমাদের কাছে সকল দিক নির্দেশনা পাবেন। পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সকল সহযোগিতার জন্য আমরা আপনাদের পাশে আছি। অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার্থীদের জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।